পোর্শা
ধরন | Aktiengesellschaft |
---|---|
শিল্প | মোটরগাড়ি নির্মাণ শিল্প |
প্রতিষ্ঠাকাল | স্টুটগার্ট, জার্মানি (১৯৩১) |
প্রতিষ্ঠাতা | ফার্ডিন্যান্ড পোর্শা |
সদরদপ্তর | স্টুটগার্ট, বাডেন-ভুর্টেমবার্গ, জার্মানি |
বাণিজ্য অঞ্চল | বিশ্বব্যাপী |
প্রধান ব্যক্তি | Matthias Müller, Chairman Martin Winterkorn, CEO[১] |
পরিষেবাসমূহ | Automotive financial services, engineering services, investment management |
আয় | €14.326 billion (2013 annual report) |
€2.579 billion (2013 annual report) | |
€1.939 billion (2013 annual report) | |
মোট সম্পদ | €24.560 billion (2013 annual report) |
মোট ইকুইটি | €9.039 billion (2013 annual report) |
মালিক | ভক্সওয়াগন গ্রুপ |
কর্মীসংখ্যা | 19,456 (2013 annual report)[২] |
অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান | Mieschke Hofmann und Partner (81.8%) পোর্শে কনসালটিং |
ওয়েবসাইট | www.Porsche.com |
পোর্শা (জার্মান উচ্চারণ: [ˈpɔʁʃə] () অনেকে পোর্শে উচ্চারণ করে থাকেন, একটি জার্মান মোটরগাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ মানের রেসিং কার, সুপারকার, হাইপারকার, এসইউভি এবং সেডান গাড়ি তৈরি করে থাকে। পোর্শার সদর দপ্তর জার্মানির স্টুটগার্টে অবস্থিত। এটি বর্তমানে )জার্মানীর ভক্সওয়াগেন গ্রুপের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। পোর্শার বর্তমান মডেলের মধ্যে রয়েছে ৯১১, বক্সটার, কেয়ম্যান, প্যানামেরা, ক্যায়নে, ম্যাকান এবং ৯১৮।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ফার্ডিন্যান্ড পোর্শা ১৯৩১ সালে পোর্শা প্রতিষ্ঠা করেন। সেসময় পোর্শার প্রধান অফিস ছিল স্টুটগার্ট শহরের কেন্দ্রে। তখন কোম্পানিটি মোটরগাড়ির মেরামত ও উন্নয়ন কর্ম এবং এবিষয়ক পেশাদারি পরামর্শ সেবাদান করতো। কিন্তু তখনো পোর্শা নামের কোন গাড়ি তৈরি করেনি। প্রথমদিকের একটি কার্যাদেশ পোর্শা পায় জার্মান সরকার থেকে। পোর্শাকে বলা হয় জনমানুষের জন্য একটি গাড়ি ডিজাইন করতে যার নাম হয় ফক্সভাগেন। পোর্শা একটি গাড়ির নকশা করে যা পরবর্তিতে ফক্সভাগেন বিটেল নামে বিখ্যাত হয়। এটী সর্বকালের অন্যতম সেরা গাড়ির নকশা। ১৯৩৯ সালে পোর্শা ৬৪ মডেলের গাড়িটিতে ফক্সভাগেন বিটল-এর বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে পোর্শা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পোর্শা ফক্সভাগেন বিটল-এর মিলিটারি সংস্করণ তৈরি করে। এর নাম দেয়া হয় কুবেলভাগেন, এই মডেলের ৫২০০০টি গাড়ি তৈরি করে পোর্শা। আরেকটি মিলিটারি সংস্করণ শ্ভিমভাগেন-এর ১৫৫৮৪টি গাড়ি তৈরি করে পোর্শা। এছাড়া যুদ্ধকালীন সময়ে বেশ কয়েকটি ট্যাঙ্কও তৈরি করে পোর্শা।
উন্নয়ন
[সম্পাদনা]যুদ্ধপরবর্তি জার্মানিতে, গাড়ির যন্ত্রাংশের সরবরাহ কম ছিল। তাই এসময় তৈরি করা বেশ কিছু গাড়িতে পূর্বের ফক্সভাগেন বিটল থেকে যন্ত্রাংশ নিয়ে ব্যবহার করা হয়। পোর্শা ৩৫৬ মডেলের গাড়িটিতে বেশ কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য ছিল। এতে ফক্সভাগেন- এর তৈরি যন্ত্রের পরিবর্তে পোর্শার নিজস্ব তৈরি যন্ত্রই বেশি ব্যবহৃত হয়। ১৯৫৪ সালে থেকে তৈরি করা ৩৫৬ মডেলের গাড়িটিতে কেবল এই গাড়ির জন্যই বিশেষভাবে তৈরি করা ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়। গাড়ির বাইরের কাঠামো বা দেহটি নকশা করেন আর্ভিন কোমেনডা, যিনি ফক্সভাগেন বিটল গাড়িটিরও নকশা করেছিলেন। প্রথম থেকে পোর্শার তৈরি করা গাড়িতে বায়ু দ্বারা ঠান্ডার রাখার পদ্ধতি সংবলিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। এই বৈশিষ্ট্যটি সেসময় অন্যান্য গাড়িতে অনুপস্থিত ছিল। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে পোর্শার গাড়িগুলো বেশ সুনিয়ন্ত্রিত এবং ভারসাম্যবিশিষ্ট ছিল।
১৯৬৪ সালে পোর্শা বিখ্যাত ৯১১ মডেলের গাড়ি তৈরি করে। মোটর রেসিং-এ পোর্শা মডেলের গাড়িগুলোর সাফল্যের কারণে আরো আধুনিক ও উন্নত বৈশিষ্ট্য সংবলিত নকশার এই গাড়িটি পোর্শা চালু করে। এই গাড়িতে ৬ সিলিন্ডারবিশিষ্ট বক্সার ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়। এই গাড়ির নকশার দায়িত্বে থাকা দলের নেতৃত্বে ছিলেন ফার্ডিন্যান্ড আলেকজান্ডার পোর্শা। তিনি ছিলেন ফেরি পোর্শার বড় ছেলে। ৯১১ মডেলের গাড়ি তৈরির সময় ফার্ডিন্যান্ডের সাথে আর্ভিন কোমেন্ডার কিছু সমস্যা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। আর্ভিন ছিলেন পোর্শার তৎকালীন ডিজাইনার। ফার্ডিন্যান্ড তখন কোমেন্ডার বিরুদ্ধে বলেন যে, সে নিয়মের বাইরে গিয়ে নকশায় পরিবর্তন করেহচে। পোর্শার স্বত্বাধিকারী ফেরি পোর্শা তৎক্ষণাত তার ছেলের আকা চিত্র প্রতিবেশী চেসিস নির্মাতা রয়টার-এর কাছে নিয়ে যা। রয়টারের কারখানা পরবর্তিতে পোর্শা অধিগ্রহণ করে। পরে রয়টার গাড়ির আসন নির্মাতা হয়ে উঠে।
পোর্শার ডিজাইন অফিস প্রতিটি গাড়ির একটি ধারাবাহিক নামকরণ করে। কিন্তু ৯০১ মডেলের নামটি এই নীতির বিরোধী ছিল। পরে অবশ্য একে ৯১১ নামকরণ করা হয়। পোর্শার রেসিং গাড়িগুলোর নামকরণ ধারাবাহিক নামকরণের মাধমেই পরিচিত। ৯১১ হল পোর্শার সবচেয়ে সফল এবং বহুল পরিচিত মডেল। এটি রেসিং-এর ক্ষেত্রে, সড়কের গাড়ি হিসেবে বাণিজ্যিকভাবেও সফল ছিল। অন্য যেকোন মডেলের চেয়ে কেবল ৯১১ দিয়ে পোর্শা ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পায়। এটি বর্তমানেও উৎপাদন করা হয়। কয়েকটি প্রজন্মে এর পরিবর্তন হলেও মূল যান্ত্রিক গঠন-কাঠামো আগের মতই ছয় সিলিন্ডার এবং পেছনে অবস্থিত ইঞ্জিন বিশিষ্ট রয়েছে। ৯১২ মডেল হিসেবে ৯১১ এর একটি তুলনামূলক অর্থসাশ্রয়ী মডেল পোর্শা তৈরি করেছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Porsche Automobil Holding SE – the top-tier parent company
- Dr. Ing. h.c. F. Porsche AG Porsche automobiles international portal
- Porsche Engineering
- Porsche Consulting
- Porsche Leipzig