গৌতম বুদ্ধ
অবয়ব
গৌতম বুদ্ধ (ইংরেজি: Gautama Buddha; খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম থেকে চতুর্থ শতাব্দী) বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা।
উক্তি
[সম্পাদনা]- সংযত মনই সুখ আনয়ন করে। পাপ ও পুণ্য সমস্তই তোমার নিজকৃত। অন্য কেহ তোমাকে পবিত্র করিতে পারিবে না।
- বুদ্ধের জীবন ও বাণী- শরৎকুমার রায়, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩২১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৮
এই অনুচ্ছেদটিতে কোনো উৎস উদ্ধৃত করা হয়নি। |
- অতীতকে প্রাধান্য দিও না, ভবিষ্যত নিয়ে দিবাস্বপ্নও দেখবে না। তার চেয়ে বরং বর্তমান মুহূর্ত নিয়ে ভাবো।
- সবকিছুর জন্য মনই আসল। সবার আগে মনকে উপযুক্ত করো, চিন্তাশীল হও। আগে ভাবো তুমি কী হতে চাও।
- আনন্দ হলো বিশুদ্ধ মনের সহচর। বিশুদ্ধ চিন্তাগুলো খুঁজে খুঁজে আলাদা করতে হবে। তাহলে সুখের দিশা তুমি পাবেই।
- তুমিই কেবল তোমার রক্ষাকর্তা, অন্য কেউ নয়।
- জীবনের প্রথমেই ভুল হওয়া মানেই এই নয় এটিই সবচেয়ে বড় ভুল। এর থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যাও।
- অনিয়ন্ত্রিত মন মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে। মনকে প্রশিক্ষিত করতে পারলে চিন্তাগুলোও তোমার দাসত্ব মেনে নেবে।
- তোমাদের সবাইকে সদয়, জ্ঞানী ও সঠিক মনের অধিকারী হতে হবে। যতই বিশুদ্ধ জীবনযাপন করবে, ততাই উপভোগ করতে পারবে জীবনকে।
- আমরা অনেকেই একটা কিছুর সন্ধানে পুরো জীবন কাটিয়ে দেই। কিন্তু তুমি যা চাও তা হয়তো এরইমধ্যে পেয়েছ। সুতরাং, এবার থামো।
- সুখের জন্ম হয় মনের গভীরে। এটি কখনও বাইরের কোনো উৎস থেকে আসে না।
- অন্যের জন্য ভালো কিছু করতে পারাটাও তোমার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
- জীবনের খুব কম মানুষের জীবনে পরিপক্কতা আসে। সঙ্গী হিসেবে এই পরিপক্কতাকে তোমার অর্জন করতে হবে। তবে তা ভুল মানুষকে অনুসরণ করে নয়। এই পরিপক্কতা অর্জনে বরং একলা চলো নীতি অনুসরণ করো।
- করুণাই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি।
- রেগে যাওয়া মানে নিজেকেই শাস্তি দেওয়া।
- সত্যিকারভাবে ক্ষমতা নিয়ে বাঁচতে হলে নির্ভয়ে বাঁচো।
- জীবনে ব্যাথা থাকবেই, কিন্তু কষ্টকেই ভালোবাসতে শেখো।
- অনেক মোমবাতি জ্বালাতে আমরা কেবল একটি মোমবাতিই ব্যবহার করি। এর জন্য ওই মোমবাতিটির আলো মোটেও কমে না। সুখের বিষয়টিও এমনই।
- যখন আমরা মনের রূপান্তর ঘটাই, আর চিন্তাগুলো বিশুদ্ধ করি, তখন আমরা অন্যায় কাজ থেকে জীবনকে পরিশুদ্ধ করি। এর মাধ্যমে খারাপ কাজের চিহ্নও মুছে যায়।
- অন্যকে কখনও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করো না, নিয়ন্ত্রণ করো কেবল নিজেকে।
- আলোকিত হতে চাইলে প্রথমে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করো।
- জ্ঞানগর্ভ জীবনের জন্য মুহূর্তের ইতিবাচক ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে। এই জন্য ভয়কে তুচ্ছ করতে হবে, এমনকি মৃত্যুকেও।
- এই তিনটি সর্বদা দেখা দেবেই: চাঁদ, সূর্য এবং সত্য।
- ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তের সমন্বয়ই জীবন। কেবল একটি সঠিক মুহূর্ত পাল্টে দেয় একটি দিন। একটি সঠিক দিন পাল্টে দেয় একটি জীবন। আর একটি জীবন পাল্টে দেয় গোটা বিশ্ব।
- নিজের কথার মূল্য দিতে হবে নিজেকেই। কেননা, তোমার নিজের কথার ওপর নির্ভর করবে অন্যের ভালো কাজ কিংবা মন্দ কাজ।
- ঘৃণায় কখনও ঘৃণা দূর হয় না। অন্ধকারে আলো আনতে তোমাকে কোনো কিছুতে আগুন জ্বালতেই হবে।
- শুভর সূচনা করতে প্রত্যেক নতুন সকালই তোমার জন্য এক একটি সুযোগ।
- আমরা প্রত্যেকেই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। একজন আরেকজনের পরিপূরক। অর্থাৎ সমাজে আমরা কেউ একা নই।
- খারাপটি সর্বদা তুমি নিজেই পছন্দ করছো। সুতরাং, তোমার খারাপ কাজের জন্য তুমি নিজেই দায়ী। এর দায়ভার অন্য কারো নয়।
- তোমার চিন্তাই তোমার শক্তির উৎস। নেতিবাচক চিন্তা তোমাকে অনেক বেশি আঘাত করে যা তোমার ধারণায় নেই।
- নির্বোধ বন্ধু আদৌ কোনো বন্ধু নয়। নির্বোধ বন্ধু থাকার চেয়ে একা হওয়া অনেক ভালো।
- তুমি মুখে কী বলছো সেটি কোনো বিষয় নয়, বিষয় হলো তোমার কাজ।
- অতীতে যিনি বিভ্রান্ত হয়েছেন তিনি যদি তার চিন্তাভাবনা সংশোধন করেন তবে তিনি মোহগ্রস্ত ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। এমন ব্যক্তি এই পৃথিবীকে মেঘমুক্ত চাঁদের মতো আলোকিত করেন।
- যুদ্ধক্ষেত্রে হাতি যেমন চারিদিকে ধনুক থেকে নিক্ষিপ্ত তীর প্রতিরোধ করে, আমিও কি অত্যাচার সহ্য করব? প্রকৃতপক্ষে, নিষ্ঠুররা পৃথিবীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ।
- যিনি লক্ষ্যে পৌঁছেছেন, তিনি নির্ভীক, তৃষ্ণামুক্ত, আবেগহীন এবং অস্তিত্বের কাঁটা উপড়ে ফেলেছেন—তার জন্য এটাই শেষ দেহ।
- কখনও কড়া কথা বলবেন না। আপনি যদি তা করেন তবে আপনাকেও একই শিরায় জবাব দেওয়া হবে। প্রকৃতপক্ষে, রাগান্বিত বক্তৃতা আঘাত করে এবং প্রতিশোধ আপনাকে অতিক্রম করতে পারে।
- রাগ ত্যাগ করুন। অহংকার সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করুন। সমস্ত আঁকড়ে থাকা থেকে মুক্তি পান। যে মন এবং শরীরকে আঁকড়ে ধরে না এবং বিচ্ছিন্ন থাকে তার উপর দুঃখ কখনই আসে না।
- একজনকে প্রথমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে যা সঠিক; তারপর শুধুমাত্র একজন অন্যদের নির্দেশ দেওয়া উচিত. এভাবে জ্ঞানী ব্যক্তিকে তিরস্কার করা হবে না।
- একজন মানুষ যদি নদীতে নেমে স্ফীত হয়ে দ্রুত প্রবাহিত হয়, স্রোতের দ্বারা বয়ে চলে যায় - সে কীভাবে অন্যকে পার হতে সাহায্য করবে?
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে গৌতম বুদ্ধ সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।