বিষয়বস্তুতে চলুন

সংকেত-অপসংকেত অনুপাত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বামের আলোকচিত্র: একটি অপসংকেতদুষ্ট চিত্র, যার সংকেত-অপসংকেত অনুপাত প্রায় ৫ ডেসিবেল। মধ্যবর্তী আলোকচিত্র: দুইটি অপসংকেতদুষ্ট চিত্রের গড়, যার সংকেত-অপসংকেত অনুপাত প্রায় ৭ ডেসিবেল। ডানের আলোকচিত্র: আটটি অপসংকেতদুষ্ট আলোকচিত্রের গড়।

সংকেত-অপসংকেত অনুপাত (ইংরেজি: Signal-to-noise ratio) সংক্ষেপে SNR বা S/N) বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে ব্যবহৃত একটি পরিমাপযোগ্য রাশি যার দ্বারা অভীষ্ট ও বোধগম্য সংকেতের ক্ষমতার সাথে এর পেছনের অবাঞ্ছিত, অবোধ্য পটভূমিক অপসংকেতের ক্ষমতাকে তুলনা করা হয়।

গাণিতিকভাবে, যেকোন সংকেতের ক্ষমতাকে যদি P দ্বারা নির্দেশ করা হয়, তাহলে

অভীষ্ট বোধগম্য সংকেত (Desired comprehensible signal) এবং পটভূমিক অপসংকেতের (background noise) ক্ষমতার অনুপাতকে প্রায়শ ডেসিবেল এককে প্রকাশ করা হয়। ১:১ অনুপাতের চেয়ে বেশি অনুপাত নির্দেশ করে যে অপসংকেতের চেয়ে সংকেতের শক্তি বেশি।

সংকেত-অপসংকেত অনুপাতটি সাধারণত বৈদ্যুতিক সংকেতের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হলেও এটিকে যেকোন রূপের সংকেতের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা সম্ভব (যেমন বরফের কেন্দ্রমণ্ডলে অবস্থিত সমস্থানিকের স্তর কিংবা জীবকোষদের মধ্যকার জৈবরাসায়নিক সংকেত আদানপ্রদান, ইত্যাদি)।

সংকেত-অপসংকেত অনুপাত, কম্পাংকব্যাপ্তি (bandwidth) এবং যোগাযোগ-প্রণালীর ধারণক্ষমতা (channel capacity) এই তিনটি রাশি শ্যানন-হার্টলি উপপাদ্য দ্বারা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত।