বিষয়বস্তুতে চলুন

শ্বেতপত্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

শ্বেতপত্র হলো কোনো বিশেষ বিষয়ে জনগণ বা পার্লামেন্টকে অবহিত করার জন্য সরকারি বিবরণী। কোনো নীতি চূড়ান্তভাবে গ্রহণের পূর্বে শ্বেতপত্র সরকার কর্তৃক জারী করা হয়ে থাকে অথবা নীতি সংক্রা্ন্ত কোনো কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণের পূর্বেও শ্বেতপত্র জারী করা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নতুন আইন অথবা কোনো সংস্কারমূলক পদক্ষেপ চূড়ান্ত করার পূর্বেও শ্বেতপত্র জারী করা হয়ে থাকে।[][][]

উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ

[সম্পাদনা]

শ্বেতপত্রের ধারণাগত ভিত্তি এবং এর ব্যবহার যুক্তরাজ্যের সংসদীয় গণতন্ত্রের সাথে যুক্ত। ‘সরকারের দ্বারা প্রকাশিত কোনো নীতিগত নথি যেখানে সংসদীয় প্রস্তাবনা থাকে, সেগুলোই শ্বেতপত্র,’ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে এভাবেই শ্বেতপত্রের বর্ণনা দেওয়া আছে। একই ধরনের প্রথা অপরাপর গণতান্ত্রিক দেশ যথা অস্ট্রেলিয়াকানাডায় প্রচলিত রয়েছে। ১৯৬৮ সালে জনপ্রশাসন সংস্কার সম্পর্কিত ফুলটন কমিটির প্রতিবেদনে ‘স্বচ্ছ সরকার’ প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্ব আরোপ করার ফলে এ প্রথার অধিকতর প্রচলন দেখা যায়। তবে শ্বেতপত্র জারী করার প্রথা বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধেও দেখা যায়। উদাহরণ স্বরূপ চার্চিল হোয়াইট পেপার (১৯২২) এবং একীভূত প্যালেস্টাইনীয় রাজ্য গঠন সংক্রা্ন্ত শ্বেতপত্র (১৯৩৯) উল্লেখ করা যায়। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার গুরুত্বপূর্ণ শ্বেতপত্রের মধ্যে যথাক্র্মে রয়েছে পূর্ণ কর্মসংস্থান (১৯৪৫) এবং প্রতিরক্ষা সংক্রা্ন্ত শ্বেতপত্র (১৯৬৪)।[]

বাংলাদেশে ব্যবহার

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে এ প্রথার প্রচলন সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী। এ প্রথা কোনো প্রস্তাবিত নীতি বা জনস্বার্থ সম্পর্কিত সমস্যার সাথে যুক্ত নয়। বরং কোনো রাজনৈতিক দলের সরকার পরিচালনার পরবর্তী সময়ে অন্যকোনো রাজনৈতিক দল কর্তৃক শাসক দলের কুকীর্তির দলিল হিসাবে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার এ ধরনের একটি শ্বেতপত্র ২০০১ সালে প্রকাশ করে।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "শ্বেতপত্র - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-৩১ 
  2. "শ্বেতপত্র কী?"SATT ACADEMY | স্যাট একাডেমি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-৩১ 
  3. "অর্থনীতির শ্বেতপত্র কী এবং কী কাজে আসবে?"বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৮-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-৩১