বিষয়বস্তুতে চলুন

অজগর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

অজগর
pythons
ভারতীয় অজগর Python molurus
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
উপপর্ব: Vertebrata
শ্রেণী: Reptilia
বর্গ: Squamata
উপবর্গ: Serpentes
অধোবর্গ: Alethinophidia
পরিবার: Pythonidae
Fitzinger, 1826
প্রতিশব্দ
  • Pythonoidea - Fitzinger, 1826
  • Pythonoidei - Eichwald, 1831
  • Holodonta - Müller, 1832
  • Pythonina - Bonaparte, 1840
  • Pythophes - Fitzinger, 1843
  • Pythoniens - A.M.C. Duméril & Bibron, 1844
  • Holodontes - A.M.C. Duméril & Bibron, 1844
  • Pythonides - A.M.C. Duméril & Bibron, 1844
  • Pythones - Cope, 1861
  • Pythonidae - Cope, 1864
  • Peropodes - Meyer, 1874
  • Chondropythonina - Boulenger, 1879
  • Pythoninae - Boulenger, 1890
  • Pythonini - Underwood & Stimson, 1990
  • Moreliini - Underwood & Stimson, 1990[]

অজগর বা পাইথন (ইংরেজি: pythons) হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম সাপ। অজগরকে ময়াল নামেও ডাকা হয়। এরা বিষহীন আদিম সাপ। এদের পিছনের পা-এর চিহ্ন পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়নি।[]

অজগর শিকারকে জোরে পেঁচিয়ে বা পরিবেষ্টন করে তার দম বন্ধ করে। এরা শিকারকে সাধারণত মাথার দিক থেকে আস্ত গিলে খাওয়া শুরু করে। কারণ, এতে শিকারের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। শিকার হজম করতে তাদের কয়েকদিন সময় লাগে। এরা মৃত প্রাণী খায় না।

এদের অবলোহিত (তাপ) রশ্মি দেখার বিশেষ তাপদৃষ্টি ইন্দ্রিয় আছে (যে ক্ষমতা কিছু বোড়াদেরও আছে, কিন্তু গঠন ও বিবর্তন ভিন্ন পথের)। অজগরের উপরের ঠোঁট বরাবর এই ইন্দ্রিয় অবস্থিত।

প্রাপ্তিস্থান

[সম্পাদনা]

আফ্রিকা মহাদেশের বিষুবীয় সাহারা অঞ্চলে পাইথন পাওয়া যায়। তবে এই মহাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকা যেমন, ওয়েস্টার্ন কেপ ও মাদাগাস্কারে এই প্রজাতির সাপ পাওয়া যায় না। এশিয়া মহাদেশে ভারত, বাংলাদেশ,নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এই সাপের বসতি আছে। এছাড়া দক্ষিণ চীন, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জইন্দোনেশিয়ায় পাইথন দেখতে পাওয়া যায়।[]

প্রজনন

[সম্পাদনা]

পাইথন একটু দেরিতে প্রজনন শুরু করে। সাধারণত একটি সাপ ৫ থেকে ৬ বছর বয়সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। একটি স্ত্রী পাইথন প্রচুর খাদ্যগ্রহণ করে যথেষ্ট শক্তি অর্জন করার পর একসাথে প্রচুর ডিম পাড়ে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. McDiarmid RW, Campbell JA, Touré T. 1999. Snake Species of the World: A Taxonomic and Geographic Reference, vol. 1. Herpetologists' League. 511 pp. আইএসবিএন ১-৮৯৩৭৭৭-০০-৬ (series). আইএসবিএন ১-৮৯৩৭৭৭-০১-৪ (volume).
  2. "Python"ইন্টিগ্রেটেড ট্যাক্সোনোমিক ইনফরমেশন সিস্টেম। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ 
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১১ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫