পোরূর
পোরূর போரூர் | |
---|---|
চেন্নাইয়ের অঞ্চল | |
পোরূর | |
স্থানাঙ্ক: ১৩°০২′০৫″ উত্তর ৮০°০৯′২১″ পূর্ব / ১৩.০৩৪৭৮° উত্তর ৮০.১৫৫৮৬° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
জেলি | চেন্নাই |
অঞ্চল | চেন্নাই মধ্য |
সরকার | |
• ধরন | চেন্নাই নগরনিগম |
• শাসক | চেন্নাই নগরনিগম |
আয়তন | |
• মোট | ৩.৭৮ বর্গকিমি (১.৪৬ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১৬ মিটার (৫২ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৪৬,৬৯০ |
• জনঘনত্ব | ১২,০০০/বর্গকিমি (৩২,০০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৬০০১১৬ |
যানবাহন নিবন্ধন | TN 10 (টিএন ১০) |
পোরূর দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই জেলার পশ্চিম দিকে অবস্থিত লোকালয়। পূর্বে এটি তিরুভেলুর জেলার পুন্তমল্লী তালুকের অন্তর্গত একটি নগর পঞ্চায়েত ছিল। ২০১১ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে এটি চেন্নাই নগরনিগমের ১১ নং জোনের অন্তর্ভুক্ত হয়।[১]
পোরূরের শুরুর দিককার ইতিহাস নথিভূক্ত করা যায় চোল সাম্রাজ্যের সময়কালে, এটি ছিল চোল রাজাদের শাসন বিভাগ পেরুরনাড়ুর প্রশাসনিক সদর। পোরূর হ্রদ আশেপাশের আইয়াপ্পানতাঙ্গল, মৌলিবক্কম ও মঙ্গাড়ুর মতো লোকালয়গুলির স্বাদুজলের প্রধান উৎস। এখানে রয়েছে রামচন্দ্র চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়। এখানে রয়েছে এয়ার ট্রানস্পর্ট কমিউনিকেশনে পরিষেবা দানকারী মনো-পালস চিকিৎসা কেন্দ্র।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে পোরূর ছিল তৎকালীন চিঙ্গলপৎ জেলার সঈদাপেট তালুকের অন্তর্গত একটি গ্রাম তথা গ্রাম পঞ্চায়েত।[৩][৪][৫][৬] এরপরেই সঈদাপেট তালুকটিকে মাদ্রাজ শহরের সঙ্গে প্রশাসনিকভাবে যুক্ত করা হয়।[৭] বিশেষত মাউন্ট-পুন্তমল্লী সড়ক বরাবর বেশ কিছু রাসায়নিক কলে বিভিন্ন পণ্য তৈরি হয় এবং অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে থাকে।[৮]
১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দের ১লা অক্টোবর তারিখে পোরূর গ্রাম পঞ্চায়েতকে প্রথম শ্রেণীর নগর পঞ্চায়েতে উন্নীত করা হয়।[৯] পরে ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দের ২৪শে ফেব্রুয়ারি তারিখে এটিকে প্রথম শ্রেণীর নগর পঞ্চায়েত থেকে মনোনীত বিশেষ শ্রেণীর নগর পঞ্চায়েতে পরিণত করা হয়।[৯] ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে এই প্রথম শ্রেণীর নগর পঞ্চায়েতের জনসংখ্যা ছিল ৮,৬৩৩ জন।[৯] ২০০১ সালে এই জনসংখ্যা বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়ায় ২৮,৭৮২ জন।[১০]
২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে এই শহরের জনসংখ্যা হয় ৪৬,৬৯০ জন, যেখানে পুরুষ ২৩,৪৫০ জন ও নারী ২৩,২৪০ জন অর্থাৎ প্রতি হাজার পুরুষে ৯৯১ জন নারী বাস, যা রাষ্ট্রীয় গড়ের তুলনায় অধিক।[১২] মোট শিশু সংখ্যা ৫,১১২ জন যেখানে শিশুপুত্র সংখ্যা ২,৬৭২ জন এবং শিশুকন্যা সংখ্যা ২,৪৪০ জন। জনসংখ্যা অনুপাতে শিশু ১০.৯৫ শতাংশ। শহরটির সাক্ষরতার হার ছিল ৯৩.৬৬ শতাংশ যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৯৬.৫৩ শতাংশ ও নারী সাক্ষরতার হার ৯০.৭৮ শতাংশ। শহরে মোট পরিবার সংখ্যা ১১,৮০৩ টি।[১৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০২১।
- ↑ Janardhanan, Arun (২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "Chennai ATC enjoys the navigation of entire South Indian skies"। The Times of India (তামিল ভাষায়)। Chennai: The Times Group। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসে ২০১২।
- ↑ "Tamil Nadu Government - RTO Details"। www.tn.gov.in।
- ↑ Indian journal of power and river valley development, Volume 41। ১৯৯১। পৃষ্ঠা 237।
- ↑ Eastern economist, Volume 41। ১৯৬৩। পৃষ্ঠা 910।
- ↑ India Major Manufacturers। Business Information Agency। পৃষ্ঠা 237।
- ↑ B. S. Baliga (১৯৫৭)। Madras District Gazetteers। পৃষ্ঠা 870।
- ↑ B. S. Baliga (১৯৫৭)। Madras District Gazetteers। পৃষ্ঠা 805।
- ↑ ক খ গ B. S. Baliga (১৯৮৩)। Madras District Gazetteers Volume 12 Part 2। পৃষ্ঠা 1273।
- ↑ "Census of India 2001: Data from the 2001 Census, including cities, villages and towns (Provisional)"। Census Commission of India। ২০০৪-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-০১।
- ↑ "Population By Religious Community - Tamil Nadu" (XLS)। Office of The Registrar General and Census Commissioner, Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Census Info 2011 Final population totals"। Office of The Registrar General and Census Commissioner, Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ https://www.census2011.co.in/data/town/803331-porur-tamil-nadu.html