ইসির
প্রাচীন নর্সে অস (বা আস, এস, বহুবচন আয়েসির, স্ত্রীলিঙ্গ আসিঞ্জা ও বহুবচন আসিঞ্জুর) হচ্ছে নর্স ধর্মের প্রধান প্যানথিয়নের সদস্য। ওডীন, ফ্রিগ, থর, বল্ডর এবন টায়ার নিয়ে প্যানথিয়ন গঠিত। দ্বিতীয় প্যানথিয়নে ভানির যুক্ত হয়। নর্স পুরাণ অনুযায়ী দুই প্যানথিয়ন সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে ইসির-ভানির যুদ্ধ সংঘটিত হয় যার হলে একটি একক প্যানথিয়ন গঠন সম্ভব হয়।
পুরাতন ইংরেজিতে এটা অস (বহুবচন এসে) যা একজন এংলো-স্যাক্সন প্যাগান দেবতা। প্রাচীন উচ্চ জার্মান হচ্ছে এনস, বহুবচন এনসি।[১] গথিক ভাষায় এনস- (জর্ডানীদের কেন্দ্র করে যারা অনিশ্চিত অর্থে এন্সেস ব্যবহার করে, সম্ভবত ডেমি-গড এবং সম্ভবতঃ বহুবচন এনেসেইসের লাতিন রূপ)।[২] পূনঃর্গঠিত প্রোটো-জার্মানিক রূপ *আনসুজ (বহুবচন আসিউইজ)। ইসিরের নামে আনসুজ রুন, ᚫ, এর নামকরণ করা হয়।
প্রাচীন ইংরেজি শব্দ গড (এবং প্রাচীন নর্স গঅ) এর মত অস (এস) কখনোই খ্রিস্টান ধর্মে গ্রহণ করা হয় নি।
ব্যাকরণ
[সম্পাদনা]ইসির হচ্ছে এস, অস গড এর বহুবচন যা জার্মান ভাষার সংগে সম্পর্কিত যেমন অস এবং প্রাচীন ইংরেজিতে অস এবং গথিক (জর্ডানেসদের দ্বারা উল্লেখিত, যারা খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে লিখেছেন) আনেস অর্ধ-ঈশ্বর। এগুলো সবই প্রটোজার্মানিক আনসুজ থেকে উদ্ভূত যা নিজেই প্রটো-ইন্দো-ইউরোপীয় *h₂énsus (gen. h₂n̥sóus) জীবন বল ( আভেস্তান আনহু লর্ড; সারাজীবন, আহুরা দেবত্ব, সংস্কৃত আসু জীবন বল, আসুরা ঈশ্বর (< *h₂n̥suró))[৩]। শব্দটি *h₂ens- এর সংগে সম্পর্কযুক্ত (হিট্টি hass- "to procreate, জন্মদান", Tocharian B ās- "উৎপাদন")।[৪]
প্রাচীন নর্সের এস হচ্ছে আস বা আসারের জেনেটিভ (বিশেষ্যর বিশেষ্য), ইসি এবং আসুর একুসেটিভ। জেনেটিভাল কমপাউন্ডসে এটা আসা- রূপে থাকে যেমন আসা-পর ইসিরের থর, এছাড়া আস- পাওয়া যায় আস-ব্রু ইশ্বরের সেতু (রংধনু, আস-গারপ্র, আস-কুন্নিগর ইশ্বরের আত্মীয়, আস-লিয়োয়ার ঈশ্বরের নেতা, আস-মোগিন ঈশ্বরের হতে পারে (বিশেষ করে থর), আস-মুর ঐশ্বরিক ক্রোধ ইত্যাদি। ল্যান্ডাস জাতীয় ঈশ্বর;; (প্যাট্রিয়াম নুমেন) থরের উপাধি, আল্লানাত্তকি আস সর্বশক্তিমান ঈশ্বর ওডিনের উপাধি।
স্ত্রীবাচক প্রত্যয় -ynja অল্প কিছু স্ত্রী প্রাণীকে নির্দেশিত বিশেষ্য থেকে জানা যায় যেমন আপিনজা মেয়ে বাঁদর, ভারগিঞ্জা স্ত্রী নেকড়ে। প্রাচীন নর্সের বাইরে স্ত্রী দেবতা শব্দটি গৃহীত হয়নি।
ডেনিশ আস্লাক এর লাতিন রূপ আনস্লেইকাস হচ্ছে ডেনিশ ভাইকিংয়ের নাম যিনি মিরাকেলস দে সেন্ট রিকুয়ের এর মতে ৮৬৪ সালে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন, ৯ম শতকের প্রথম নাসিক্য সিলেবল।
প্রাচীন ইংরেজিতে áss রূপান্তরিত হয়েছে ōs এ, শুধুমাত্র ব্যক্তির নামে Ōs- উপসর্গ (যেমনঃ অস্কার, অসবর্ন, ওসওয়াল্ড) হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং কিছু স্থানের নাম ও বিশেষ্যের বিশেষ্যের বহুবচন এসা ( (এসা গেস্কট ও আইলফা গেস্কট, এলফশট, জ্যাকুলা দিভোরাম এত জেনিয়োরাম) ইত্যাদি।
প্রাচীন উচ্চ জার্মানি এবং প্রাচীন স্যক্সন শব্দটি ব্যক্তি এবং স্থানের নামের সংগে যুক্ত যেমন আনেসবার্ট, আনসেল্ম, আন্সফ্রিড, ভিহান্স। জরদানেসদের আনেসেস আছে গথদের ঈশ্বরের জন্য।[৫]
নর্স পুরাণ
[সম্পাদনা]ইসির এবং ভানিরের মিথস্ক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন পাণ্ডিত্যপূর্ণ তত্ত্ব ও গল্প প্রচলিত আহচে। যেখানে অন্যান্য সংস্কৃতিতে ঈশ্বর পরিবারে বড় এবং ছোট সদস্য আছে যেমন প্রাচীন গ্রীসে টাইটানস বনাম অলিম্পিয়াস, কিন্তু আইসির এবং ভানিরকে সমসাময়িক প্রতিদ্বন্দী হিসেবে দেখানো হয়েছে। দুই ঈশ্বরের গোত্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়, শেষে চুক্তি করে এবং বন্দী বিনিময় করে (ফ্রেয়ার ও ফ্রেয়জাকে বন্দী হিসেবে উল্লেখ করা হয়)।
উল্ল্র এর মত আস এর নাম পুরাণে প্রায় অপরিচিত কিন্তু অনেক ভৌগোলিক নামে বিশেষকরে সুইডেনে এবং সম্ভবত তৃতীয় শতকের থর্সবার্গ চ্যাপে, প্রমাণ করে যে একদা প্রাগৈতিহাসিক যুগে ব্যপকভাবে তার পূজা প্রচলিত ছিলো।
প্রথম তিন ইসিরের নাম নর্স পুরাণে ভিনি, ভে ও ওডিন যারা আত্মিক বা মানসিক অবস্থার সংগে সম্পৃক্ত। ভিনি সচেতন ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা, ভে পবিত্রতা এবং ওডিন খেদোন্মত্ত বা উদ্বেলিত।
ইসির এবং ভানির
[সম্পাদনা]নর্স মিথোলজিতে দ্বিতীয় দেবতা বংশ ভানির এর উল্লেখ করা হয়েছেঃ দেবতা ঞ্জোরোর এবং তার সন্তানেরা ফ্রেয়ার ও ফ্রেজা হচ্ছে উল্লেখযোগ্য ভানির দেবতা যারা ইসির-ভানির যুদ্ধে ইসিরদের হাতে বন্দী হন। ভানিরেরা প্রধানত চাষাবাদ ও উর্বরতার দেবতা এবং ইসিরেরা শক্তি ও যুদ্ধের দেবতা।
এড্ডাসে সাধারণ ভাবে দেবতা বোঝাতে আইসির এবং দেবী বোঝাতে আসিঞ্জুর ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ স্করনিস্মাল কবিতায় ফ্র্যারকে ইসিরের রাজপুত্র বলা হয়েছে। এড্ডা গদ্যে ঞ্জোরোরকে ইসিরদের মধ্যে তৃতীয় উল্লেখ করা হয়েছে এবং আসিঞ্জুরদের মধ্যে ফ্রেজাকে সবসময় ফ্রিগের পরে দ্বিতীয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
টিকে থাকা গল্পগুলোর মধ্যে অনেকে ইসিরের উৎস বর্ণনা করাই হয়নি। সেখানে সাধারণত তিনিজন ওডিন এবং তার ভাই ভিলি ও ভে'র কথা বলা হয়ে থাকে। দৈত্যের ঘরে ওডিনের পুত্র সাধারনত আইসির হিসেবে ধরা হয়। হেইমডাল্ল্র ও উল্ল্র এর ইসিরের সাথে সম্পর্ক পরিষ্কার নয়। লোকি হচ্ছে জোটুন এবং ঞ্জোরোর হচ্ছে বন্দি ভানির কিন্তু তাদেরকে প্রায়শই আইসির হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
পাণ্ডিত্যপূর্ণ তত্ত্ব এবং ব্যাখ্যা
[সম্পাদনা]ইসির এবং ভানিরের মধ্যকার পদ এবং কাজের ভূমিকা থেকে কিছু পণ্ডিত মন্তব্য করেছেন সেই সময়ে নর্স সমাজে সামাজিক শ্রেনীবিভাগ (অথবা গোত্রে) এরকমই ছিলো।[৬] অন্য একটি তত্ত্বমতে, ভানির (তাদের উর্বরতার দেবতা) সামরিক আসিরদের তুলনায় আরো বেশি প্রাচীন। একটি অর্ধস্মরণীয় ধর্মীয় পৌরাণিক যুদ্ধে সংঘটিত হয়েছিলো এই দুই গোত্রের মধ্যে। ১৮৭৭ সালে প্রথম যুক্তিট উইলহেলম ম্যানহার্ডট প্রস্তাব করেছিলেন (ডুমেজিলে যেমন বর্ণিত হয়েছে, xxiii ও মুঞ্চ, ২৮৮)। একই ধরনের একটি টীকায় মারিজা গিমবুটাস যুক্তি দেখিয়েছেন তার কুগান হাইপোথিসিসে যে ইসির এবং ভানির একটি আদিবাসী ইন্দো-ইউরোপিয়ান দল যারা যুদ্ধবাজ বহিরাগতদের আক্রমণে স্থানচ্যুত হয়েছে। লিভিং গডস এ তার বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যাব। আরেকটি ঐতিহাসিক তত্ত্বে আন্ত-প্যানথিয়ন সংঘাত সম্ভবত রোমান রাজত্ব ও স্যাবিনদের সংঘাতের ফল[৭]।
পরিশেষে তুলনামূলক ধর্ম পণ্ডিত মিরসিয়া এলিয়াড বলেছেন সংঘাতটি আসলে ইন্দো-ইউরোপীয় পুরাণের পরবর্তী সংস্করণ যা মূলত আকাশ/যোদ্ধা/শাসক দেবতার প্যানথিয়ন এবং পৃথিবীর/অর্থনীতি/উর্বরতা দেবতার প্যানথিয়নের মধ্যকার দ্বন্দ্ব এবং চূড়ান্ত একীভূতকরণকে চিত্রায়িত করে।[৮]
ইসিরের তালিকা
[সম্পাদনা]গেইলফ্যাগিন্নিং ২২ জন পুরুষ ইসিরের তালিকা প্রদান করেছ যার মধ্যে তাদের প্রধান ওডিন বা লোকি ছিলো না, যাদেরকে কেউ কেউ আসাসদের ব্যাকবাইটার বলেছেন:
অতঃপর গ্যাংলেরি বললেনঃ মানুষের কোন ইসিরকে বিশ্বাস করা উচিত? তার জবাবঃ ২২ জন ইসির ঈশ্বরের বংশধর। অতঃপর জাফনর বলেনঃ আসিঞ্জুরগণ কম পবিত্র নয় এবং কম সক্ষম নয়। অতঃপর প্রিডি বললেনঃ ওডিন হচ্ছেন সব থেকে বিখ্যাত ও প্রাচীন ইসির... ফ্রিগ তার স্ত্রী যে মানুষের ভাগ্য জানতো কিন্তু বলতো না...
- (২১.) থর হচ্ছে তাদের মধ্যে সবথেকে সেরা। তাকে বলা হয় আসা-থর বা ওকু-থর। তিনি সকল দেবতা এবং পুরুষের মধ্যে শক্তিশালী ও প্রুডভাংর এর শাসনকর্তা।
- (২২.) ওডিনের দ্বিতীয় পুত্র বলড্র'
- (২৩.) তৃতীয় আসা হচ্ছেন তিনি যাকে ঞ্জোরোর বলা হয়।
- (২৪.) নোয়াতুনে ঞ্জোরোরের দুই সন্তান আছেঃ পুত্রের নাম ফ্রেয়ার এবং কন্যার নাম ফ্রেজা। তাদের ফর্সা মুখ এবং শক্তিশালী। ফ্রেয়ার যুক্তিগ্রাহ্যভাবে আসাসদের মধ্যে বিখ্যাত। তিনি বৃষ্টি ও সূর্যালোকের উপর শাসন করেন। ফলন এবং শান্তির জন্য তাকে ডাকা ভালো। তিনি পুরুষের সম্পদ নিশ্চিত করেন। ফ্রেজা দেবীদের মধ্যে সব থেকে বিখ্যাত।
- (২৫.) আরো একজন আসা আছেন তার নাম টায়ার। তিনি খুবই সাহসী এবং শক্ত হৃদয়ের। তিনি যুদ্ধে বিজয় দান করেন, যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্যদের তাকে আহবান করা উচিত।
- (২৬.) ব্রাগি অন্য একজন আসাসের নাম। যিনি প্রজ্ঞা, সুমিষ্ট ও সুবক্তা হিসেবে বিখ্যাত।
- (২৭.) হেইমডল্লর একজনের নাম। তাকে বলা হয় সাদা-আসা। তিনি মহান এবং পবিত্র; নয় কুমারীর গর্ভজাত যারা সবাই বোন ছিলো। তাকে অবশ্য হ্যাল্লিনস্কাইড গুল্লিনট্যান্নে বলা হয় তার স্বর্ণদাঁতের জন্য।
- (২৮.) হডর হচ্ছে একজন আসাস, যিনি অন্ধ ছিলেন কিন্তু প্রচুর শক্তিশালী ছিলেন এবং দেবতাদের ইচ্ছে ছিলো কখনো যেন এই দেবতার নাম নেওয়া প্রয়োজন না হয়, তার হাতের কাজ দেবতা ও মানুষের স্মৃতিতে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকবে।
- (২৯.) ভিডার হচ্ছে একজন নিরব আসা। তার পায়ের জুতা পুরু এবং থরের পরে তিনিই শক্তিমান। সকল কঠিন কাজে দেবতারা তার সাহায্য পেয়ে থাকেন।
- (৩০.) ভালি ওডিন ও রিন্ডর পুত্র। যুদ্ধে তিনি সাহসী এবং ভালো যোদ্ধা।
- (৩১.) উল্লর হচ্ছে একজনের নাম, যিনি সিফের পুত্র এবং থরের সৎ পুত্র। তিনি দক্ষ তীরন্দাজ এবং স্কিতে খুব দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং কেউ তাকে হারাতে পারে না। তার মুখ ফর্সা এবং একজন যোদ্ধার সব গুণ তার মধ্যে আছে। মানুষের উচিত একক যুদ্ধে তাকে স্মরণ করা।
- (৩২.) ফরসেতি হচ্ছে বলডর এবং নেপের কন্যা নান্নার পুত্র। তিনি স্বর্গের উচ্চ গৃহে আছেন। তার কাছে আসা সবাই পূর্ণ সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে যায়। তিনি জনগণের ভবিষ্যৎ শোনেন। দেবতা এবং মানুষের মধ্যে এর থেকে ভালো আদালত পাওয়া যাবে না।
- (৩৩.) আরো একজন আছে যাকে আসাসদের মধ্যে গণনা করা হয় কিন্তু যাকে অনেকে আসাদের বোঝা (ব্যাকবাইটার) বলে। তিনি ডিসেইটের আদি এবং দেবতা ও মানুষের বিরক্তি। তার নাম হচ্ছে লোকি বা লপ্ট... তার স্ত্রী সিজাইন এবং তাদের পুত্র নারে বা নারফে।
উপরের বর্ণিত ১৪ আসিরের তালিকার পাশাপাশি সেকশান ৩৬ এ ১৪ জন আসিঞ্জুরের তালিকা রয়েছেঃ
গ্যাংলেরে জিজ্ঞাসা করলেনঃ দেবী কারা? তার উত্তরঃ
- ফ্রিগ হচ্ছে প্রথম; তিনি ফেনসেলার দ্বৈত লড়াইয়ের অধিকার রাখেন
- দ্বিতীয় হচ্ছে সাগা, তিনি সকভাবেকে দ্বৈত লড়েন এবং এটা বিশাল একটি দ্বৈত লড়াই।
- তৃতীয় হচ্ছেন এইর, তিনি চাবুকে সেরা।
- চতুর্থ হচ্ছে গেফজন
- পঞ্চম হচ্ছে ফুল্লা, তিনিও একজন কুমারী, তার চুল খোলা এবং চুলে সোনার ফিতা পরেন। তিনি ফ্রিগের সিন্দুক বহন করেন এবং জুতার দেখভাল করেন ও তার গোপনীয়তা জানেন।
- ষষ্ঠ হচ্ছে ফ্রেজা, যাকে ফ্রিগের সাথে যাকে স্থান দেওয়া হয়। ওডের নামে এক মানুষের সাথে তার বিয়ে হয়; তাদের কন্যার নাম হ্নোস এবং সে এত ফর্সা যে সকল ফর্সা এবং দামী জিনিসকে হ্নোস নামে ডাকা হয়। ওডোর অনেক দূরে চলে যায়। ফ্রেজা তার জন্য কান্নাকাটি করে কিন্তু তার চোখের জলের রঙ লালচে সোনালী। ফ্রেজার অনেক নাম এবং নামপরিবর্তনের কারণ হচ্ছে সে যেসকল জাতির মধ্যে ওডোরকে খুঁজতে গিয়েছিলো তাদের কাছে সে নাম পরিবর্তন করছিলো। তাকে মার্ডল, হর্ন্ম গেফন এবং সায়ার নামে ডাকা হয়। তাকে ভ্যানাডিসও বলা হয়।
সপ্তম হচ্ছে সজোফন, যিনি পুরুষ ও নারীর হৃদয়ে ভালোবাসা তৈরী করতে পছন্দ করেন এবং তার নামে ভালোবাসাকে সজ্যাফনে বলা হয়। অষ্টম হচ্ছে লফন, যে তাকে স্মরণ করে তাদের প্রতি তিনি দয়ালু এবং ভালো এবং তার আলফাদার অথবা ফ্রিগের অনুমতি আছে পুরুষ ও নারীকে একত্রিত করার। পথে যত বিপদই আসুক না কেন সেটা কোন ব্যাপার নয়। তার নামেও ভালোবাসাকে ডাকা হয় যা পুরুষের খুবই পছন্দ। নবম হচ্ছে ভার, তিনি পুরুষ ও নারীর পরষ্পরের প্রতি করা শপথ তিনি শোনেন। এই ধরনের শপথকে বলা হয় ভারস এবং যারা শপথ ভাঙে তাদের উপর তিনি প্রতিশোধ নেন। দশম হচ্ছে ভোর, যিনি জ্ঞানী এবং যা জানেন না তার অনুসন্ধান করতে থাকেন। বলা হয়ে থাকে একজন মহিলা ভোর (ওয়ার) হয়ে যায় যদি তিনি জ্ঞানী হন। এগারোতম হচ্ছে সিন, যিনি হলের দরজা পাহারা দেন এবং যাদের প্রবেশাধিকার নেই তাদের বাঁধা দেন। বিচারের সময়ে কেউ মিথ্যা বলার চেষ্টা করছে কিনা সেটা তিনি পাহারা দেন। বলা হয়ে থাকে কেউ কথা ভংগের চেষ্টা করলে সিন সেটা প্রতিরোধ করেন। বারোতম হচ্ছে হ্লিন, তিনি সেই সব পুরুষকে পাহারা দেন ফ্রিগ যাদেরকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে চান। তেরোতম হচ্ছে স্নোত্রা, যিনি জ্ঞানী এবং ন্যায়পরায়ণ। জ্ঞানী নারী পুরুষকে তার নামে স্নোত্রাস নামে ডাকা হয়।
চৌদ্দতম হচ্ছে গ্না, যাকে ফ্রিগ বিভিন্ন দুনিয়ায় প্রেরণ করেন। তিনি হফভার্পনার নামে ঘোড়ায় আরোহণ করেন যা বাতাসে এবং সাগরের উপর দিয়ে চলতে পারে। যখন তিনি ওড়েন তখন অনেক ভানির তাকে বাতাসের মধ্যে তাকে দেখতে পান। [...]
সল এবং বিলকে দেবীদের মধ্যে গণনা করা হয় কিন্তু তাদের প্রকৃতি ইতোমধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে।
আ-রুন
[সম্পাদনা]আ-রুন, আন্সুজ, ᚫ, ছোট ফুথার্ক ᚬ, সম্ভবত ইসিরের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই অর্থে নামটি শুধু মাত্র আইসল্যান্ডীয় রুন কবিতায় Óss হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ওডিনকে নির্দেশ করা হয়েছে, যাকে জুপিটাররের সংগে উল্লেখ করা হয়।
ᚬ Óss er algingautr / ok ásgarðs jöfurr, / ok valhallar vísi. / Jupiter oddviti.
"অস হচ্ছে আজেদ গাউটর / এবং আসগার্দের রাজপুত্র /এবং ভালহাল্লার প্রভু / প্রধান জুপিটার।"
গথিক বর্ণমালায় এটা আহসা। রুনের জার্মান নাম সম্ভবত হয় আনুসুজ ঈশ্বর, একজন ইসির অথবা আহসাম কান (শস্যের)।
আসলেইকর
[সম্পাদনা]প্রাচীন নর্স ব্যক্তি নাম আস্লেইকর (লাতিন রূপ আন্সলেইকাস), প্রাচীন ইংরেজি অসলাক (আধুনিক হ্যাস্লাক) এবং প্রাচীন উচ্চ জার্মান আনস্লেহ সম্ভবত প্যাক জার্মান পৌত্তলিকতায় (*আনসু-লেইকম) ঈশ্বরের জন্য উৎসর্গ ক্রিয়ার জন্য ব্যবহার করা হতো। । গ্রিমসের Deutsches Wörterbuch (s.v. "Leich") *laikom শব্দটিকে গ্রীকশব্দ χορος এর সংগে তুলনা করেছে। যা উৎসর্গের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াকে বোঝায়। কিন্তু ধর্মানুষ্ঠানে নাম এবং স্লোকের প্রচলনও ছিলো। পল হারমান (১৯০৬) ট্যাসিটাসের বর্ণনা থেকে ৬৯ সালে বাটাভি বিদ্রোহে কুইন্টাস পেটিল্লিয়াস সেরিয়ালিস্কে পরাজিত করার পরে *ansulaikom কে বাটাভির বিজয় সংগীত হিসেবে শনাক্ত করেছেন এবং পোপ জর্জ ১ এর বর্ণনা থেকে ৫৭৯ সালে বিজয় উৎসবে লোমবার্ডসরা গেয়েছিলো, উডোন (ওডিন) এর উদ্দেশ্যে বলি দেওয়া ছাগলের মাথাকে বৃত্তাকারে ঘিরে নেফারিয়াস সং গেয়েছিলো। (ডায়ালগস চ্যাপ্টার ২৮)।[৯][১০]
ব্যক্তির নাম
[সম্পাদনা]গথদের আনসিলা ও আনসেমুন্ড আছে।
অ্যাংলো-স্যাক্সন এর থিয়োফোরিক নামে os আছেঃ অসমুন্ড, অসবুহ, অসলাক, অসওয়াল্ড, অসউইয়ূ, অসউইন, অসবার্ট, অসউডু, অস্রেড, অসলাদ, ওসা, অসগার (আসগেইর এর অ্যাংলো-স্যাক্সন রূপ)। বার্নিসিয়া রাজবংশে এই নামগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে জনপ্রিয় ছিলো। বর্তমানে অসগুড এবং অসবর্ন পদবী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
স্ক্যান্ডিনেভীয় ডাক নামেও দেখা যায়ঃ আসবজর্ন, এসগেইর (আসগার, আস্কার), আস্মুন্ড, আস্ট্রিড, আসডিস, আসগাউর, আস্লাং, আসে ইত্যাদি।
প্রাচীন উচ্চ জার্মানে আছে আনসো, আনসেল্ম, আনশিল্ট, আনস্পাল্ড এবং আনস্নট ও লোম্বার্ডিক এ আছে আন্সোয়াল্ড ও আনস্প্রান্ড।
কিছু ইংরেজি নামেও দেখা যায়। ৮৭৪ সালে রাজা আস্কেতিল চারজন ভাইকিং প্রধানের একজন ছিলেন যিনি ইংল্যান্ডের মার্সিয়ার রাজধানী রেপটন দখল করেন। আস'কেতিল অর্থ 'কেতলি' (যেখান থেকে ইংরেজি কেটল শব্দটি এসেছে)। তার নামের অর্থ দেবতার কেটলি। ইংরেজি পদবি নাম আস্টেল তার নাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে। যদিও এর সংগে আস্টলে নামের কোন যোগসুত্র নেই। ইংরেজি Astle এর কম প্রচলিত বানানগুলো হচ্ছে Astel, Astell, Astill, Astyll এবং Astull।
আসাত্রু
[সম্পাদনা]আসাত্রু শব্দের অর্থ ইসিরে বিশ্বাস নর্স পৌত্তলিকতার উপর ভিত্তি করে পূনঃগঠিত বহুঈশ্বরবাদী এক ধরনের নতুন ধর্মীয় আন্দোলন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত আইসল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক এবং সুইডেন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আসাত্রুকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আসাত্রুর আক্ষরিক অর্থ থাকা সত্বেও অধিকাংশ অনুগামী জোর করে ইসিরে পূজা করা সমর্থন করে না। আইসল্যান্ডের আসাত্রুয়ারফেলাকিয়ো আসাত্রুকে নর্ডিক প্যানথেইজম হিসেবে বর্নণা করে যা অত্র অঞ্চলের অন্যান্য দেবতা এবং অন্যান্য বস্তুর পাশাপাশি সকল আত্মাসহ আইসল্যান্ডিক/নরডিক লোকসাহিত্যে বিশ্বাস করে। আমেরিকার আসাত্রু লোক সমাবেশ আসাত্রুকে বর্ণনা করে স্থানীয়দের এক বহিঃপ্রকাশ, ইউরোপের প্রাক-খ্রিস্টান আধ্যাত্মিকতা এবং স্থানীয় আফ্রিকীয় ধর্ম।
টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ Jacob Grimm, Deutsche Mythologie
- ↑ Grimm, ch. 2
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৮ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ Adams, Douglas Q. (১৯৯৭)। Encyclopedia of Indo-European Culture। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 330। আইএসবিএন 978-1-884964-98-5।
- ↑ "Tum Gothi, magna potiti per loca victoria, jam proceres suos quasi qui fortuna vincebant, non puros homines, sed semideos, id est anses vocavere." (ch. 13)
- ↑ Dumézil, 3-4, 18; Turville-Petre, 159-162.
- ↑ Turville-Petre, 161. See especially ff. 37.
- ↑ See this pattern discussed in Eliade's Patterns in Comparative Religion - Section II (30) - The Supplanting of Sky Gods by Fecundators. New York: Sheed & Ward, 1958. Supporting this position, Turville-Petre notes, "In one civilization, and at one time, the specialized gods of fertility might predominate, and in another the warrior or the god-king. The highest god owes his position to those who worship him, and if they are farmers, he will be a god of fertility, or one of the Vanir" (162).
- ↑ Herrmann, Paul (১৯০৮)। Nordische Mythologie in gemeinverständlicher Darstellung। Engelmann। পৃষ্ঠা 342।
- ↑ Herrmann, Paul (১৯২৮)। Altdeutsche Kultgebräuche। E. Diederichs।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- DuBois, Thomas A. (1999). Nordic Religions in the Viking Age. Philadelphia, PA: University of Pennsylvania Press. আইএসবিএন ০-৮১২২-১৭১৪-৪
- Dumézil, Georges (1973). Gods of the Ancient Northmen. Edited by Einar Haugen; Introduction by C. Scott Littleton and Udo Strutynski. Berkeley, CA: University of California Press. আইএসবিএন ০-৫২০-০২০৪৪-৮
- Grimm, Jacob. Teutonic Mythology, ch. 2
- Munch, P. A. (1926). Norse Mythology: Legends of Gods and Heroes. In the revision of Magnus Olsen; translated from the Norwegian by Sigurd Bernhard Hustvedt. New York: The American-Scandinavian Foundation; London: H. Milford, Oxford University Press.
- Orchard, Andy (2002). Cassell's Dictionary of Norse Myth and Legend. London: Cassell. আইএসবিএন ০-৩০৪-৩৬৩৮৫-৫
- Turville-Petre, Gabriel (1964). Myth and Religion of the North: The Religion of Ancient Scandinavia. New York: Holt, Rinehart and Winston. আইএসবিএন ০-৮৩৭১-৭৪২০-১
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Viktor Rydberg's "Teutonic Mythology: Gods and Goddesses of the Northland" e-book
- W. Wagner's "Asgard and the Home of the Gods" e-book
- "Myths of Northern Lands" e-book by H. A. Guerber
- Peter Andreas Munch's "Norse Mythology: Legends of Gods and Heroes" e-book
- Bartleby: American Heritage Dictionary: Indo-European roots: ansu