বিষয়বস্তুতে চলুন

ইয়ানী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইয়ানী সম্পূর্ণ নাম ইয়ানীস ক্রিসোমালিস (গ্রিক ভাষা: Γιάννης Χρυσομάλλης) (জন্ম নভেম্বর ১৪, ১৯৫৪) গ্রিক পিয়ানোবাদক ও সঙ্গীতস্রষ্টা। তিনি গ্রিসের ক্যালামাটায় জন্মগ্রহণ করেন।[]

শৈশব ও প্রাথমিক শিক্ষা

[সম্পাদনা]

সোটিরি ও ফেলিটসা ক্রিসোমালিসের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মাঝে তিনি ছিলেন মেঝ। সুরের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই পরিবারটির অবসরের বেশিরভাগ সময় কাটত সুরকে ঘিরে। ৮ বছর বয়স থেকে ইয়ানি পিয়ানো বাজাতে শুরু করেন। কিন্তু বাঁধাধরা কাঠামোগত শিক্ষা নিতে তাঁর অনাগ্রহ প্রকাশ পায় ভালোভাবেই। সুরে তাঁর স্বাধীনতাই তাঁকে রক্ষা করেছিল কাঠামোগত শিক্ষার কারখানা হতে। প্রথম জীবনে ভালো সাঁতারু ছিলেন। ১৪ বছর বয়সে গ্রিসে একটি ৫০ মিটার ফ্রি-স্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতায় একবার জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন।

উচ্চতর শিক্ষা ও সুরের জগতে বাঁকবদল

[সম্পাদনা]

হাই স্কুল সম্পন্ন করে ১৯৭২ সালে তিনি আমেরিকায় আসেন এবং মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান পড়তে ভর্তি হন। এ সময়ে স্থানীয় রক অ্যান্ড রোল ব্যান্ডগুলোতে অংশ নিতে থাকেন। সাথে সাথে পিয়ানো ও ইলেকট্রনিক কিবোর্ডে রপ্ত হয়ে ওঠেন এবং নিজ ধারার উন্নতি করতে থাকেন। ১৯৭৬ সালে স্নাতক সম্পন্ন করার পরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন জীবনে তাঁর চলার পথ হবে সুরের পথ। তখন পর্যন্ত তার সঙ্গীত সম্বন্ধে কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই তিনি চ্যামেলিয়ন নামক একটি দলে যোগ দেন। চ্যামেলিয়নের প্রধান ছিলেন চার্লি আডামস(ড্রামার)। সে সময়ে চ্যামেলিয়ন সুখ্যাতি লাভ করে বেশ কয়েকটি সফর দিয়ে; বিশেষত মিনেসোটা, লোয়া, ইলিনয়, উইসকনসিন, সাউথ ডাকোটা প্রভৃতি মার্কিন অঙ্গরাজ্যে। কিন্তু কিছুদিনের মাঝেই রক অ্যান্ড রোল ধারায় তিনি উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। এবারে ইয়ানি সম্পূর্ণ মনোযোগ দেন যন্ত্রসঙ্গীতের উপর। চলে যান লস অ্যাঞ্জেলেসে। চার্লি আডামস ও জন ট্রেশকে নিয়ে একটি ব্যান্ড দল গঠন করেন। ১৯৯২ সালে বের হয় তাঁর প্রথম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত অ্যালবাম "ডেয়ার টু ড্রিম"।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]