ঘড়ি
ঘড়ি এমন একটি যন্ত্র যা সময় নির্ধারণে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের ঘড়ি দেখতে পাওয়া যায়, যেমন হাত ঘড়ি, দেয়াল ঘড়ি ইত্যাদি।[১][২]
এটি প্রথম যান্ত্রিক ঘড়ি। আনুমানিক সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে মিসর ও ব্যাবিলনে এর উৎপত্তি। এটি আজও টিকে আছে। সেকেন্ড ও মিনিটের কাটা নেই,নেই কোন টিকটিক শব্দ। তবে সময় দেয় একদম নিখুঁত।গোলাকার চাকতিতে একটি নির্দেশক কাঁটা ও দাগ কাটা সময়ের ঘর,এ নিয়েই সূর্যঘড়ি।মাত্র ৭০০ বছর আগে লাতিন শব্দ ‘ক্লক্কা’ থেকে এসেছে ক্লক।ক্লক্কা মানে ঘন্টি।যদিও ইতিহাসেও এই মূল্যবান আবিষ্কারটির আবিষ্কারক হিসেবে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়না। তবে সূর্য ঘড়ির ব্যবহার শুরু অনেক কাল আগে থেকেই। ধারণা করা হয় মিশরীয়রাই প্রথম প্রকৃতিনির্ভর অর্থাৎ সূর্য-ঘড়ি নির্মাণ করেছিল আর ১৪ শতাব্দীতে এসে ইউরোপিয়ানরাই এই তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে প্রথম যান্ত্রিক ঘড়ি আবিষ্কার করেন।কিন্তু ১৪ শতকের দিকে নির্মিত ঘড়িগুলোতে শুধুমাত্র ঘণ্টা নির্দেশ করতে সক্ষম হত, মিনিট বা সেকেন্ড নির্ণয় করতে পারতো না। তাছাড়া বর্তমান ঘড়ির দুই ঘণ্টা ছিল সেই ঘড়ির হিসেবে এক দিন, যার মানে একদিনে ঘড়িটি মাত্র দুবার ৩৬০ ডিগ্রী কোণে ঘুড়তে পারতো। অর্থাৎ এই ঘড়ি দিয়ে সম্পূর্ণ নির্ভুল ও সূক্ষ সময় গণনা করা যেত না।অবশেষে ডাচ জ্যোতির্বিদ ক্রিশ্চিয়ার হাইজেন্স ১৬৫৭ সালে এসে সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে মিনিট, সেকেন্ড ও ঘণ্টা নির্দেশকারী উন্নতমানের যান্ত্রিক ঘড়ির নকশা করেন। [৩][৪]
ঘড়ির রকমফের
[সম্পাদনা]হাতঘড়ি
[সম্পাদনা]হাতঘড়ি একটি ক্ষুদ্র ঘড়ি যা একটি ফিতার সাহায্যে কোন ব্যক্তির কব্জিতে যুক্ত করা হয়। নিরীক্ষণ করা সময় এবং দিন, তারিখ, মাস এবং বছর কখনও কখনও প্রদর্শন করে। ১৫২৪তে, পিটার হেনেলিন প্রথম পকেট ঘড়ি তৈরি করেছিল। ১৯০০ খ্রীষ্টাব্দের পূর্বে, অধিকাংশ ঘড়িই ছিল পকেট ঘড়ি যা শেকলের মাধ্যমে পকেটের সাথে আটকে রাখা হত।। ১৯৭০ পূর্বে, সমস্ত ঘড়িতে একটি ঘুর্ণায়মান ঘণ্টার কাঁটা এবং একটি দীর্ঘতর মিনিট কাঁটার সঙ্গে একটি নম্বরযুক্ত ডায়াল ছিল। ১৯৯৭ থেকে, ডিজিট্যাল ঘড়ি বাজারে আসে। ডিজিটাল ঘড়িতে সময় রাখতে ভেতরে ক্ষুদ্র কম্পিউটার রয়েছে। এতে ডায়লে কাঁটার পরিবর্তের একটি ডিজিটাল ঘড়ি একটি সংখ্যা হিসেবে সময় দেখায় (উদাঃ, ১০: ৩০ এএম)।
দেয়াল ঘড়ি
[সম্পাদনা]হাতঘড়ির চেয়ে আকারে বড় দেয়াল ঘড়ি। দেয়াল ঘড়িগুলো সাধারণত দেয়ালে টানানো থাকে। এ সকল ঘড়িসমূহ নানা আকার আকৃতি ও কারুকার্যময় হয়ে থাকে।[৬]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Dohrn-van Rossum, Gerhard (১৯৯৬)। History of the Hour: Clocks and Modern Temporal Orders। Univ. of Chicago Press। আইএসবিএন 0-226-15511-0।, p.103-104
- ↑ Marrison, Warren (১৯৪৮)। "The Evolution of the Quartz Crystal Clock" (পিডিএফ)। Bell System Technical Journal। 27: 510–588। ডিওআই:10.1002/j.1538-7305.1948.tb01343.x। ১০ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ Cipolla, Carlo M. (২০০৪)। Clocks and Culture, 1300 to 1700। W.W. Norton & Co.। আইএসবিএন 0-393-32443-5।, p.31
- ↑ White, Lynn, Jr. (১৯৬২)। Medieval Technology and Social Change। UK: Oxford Univ. Press। পৃষ্ঠা 119।
- ↑ "Cambridge Advanced Learner's Dictionary"। ২০০৯-০৯-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-১৬।
a device for measuring and showing time, which is usually found in or on a building and is not worn by a person
- ↑ world-clock