বিষয়বস্তুতে চলুন

এলদিগুয

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এলদাগিযের তামা'র দিরহাম। আজারবাইজানের ইতিহাসের জাদুঘর, বাকু 

শাআমস আল-দিন ইলদেনিয, এলদিগুয অথবা  শামসেদ্দিন এলদেনিয (ফার্সি: اتابک شمس‌الدین ایلدگز, মৃত্যুঃ ১১৭৫- ১১৭৬ খ্রিষ্টাব্দ) সেলজুক্ব সম্রাজ্যের একজন আতাবেগ ছিলেন পাশাপাশি এলদিগুযিদস (আহারবাইজানের আতাবেগ) রাজ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, যা ককেসিয়ান আলবেনিয়া, ইরানি আজারবাইজান এবং বেশিরভাগ উত্তর-পশ্চিমা পার্সিয়ানদের ১২তম শতকের শেষ অর্ধেক থেকে ১৩ শতকের প্রাথমিক দশক পর্যন্ত  প্রভাব বিস্তার করে। 

তিনি জন্মসূত্রে ছিলেন একজন কিপছাক। সেলজুক্ব সুলতান প্রথম মেহদির সাবেক উজির- কামাল দিন-আল সিমিরুমির ফ্রিডম্যান ছিলেন এবং পরে সুলতান মাস'উদ এর শাসনামলে (১১৩৪-১১৫২) তিনি আরানের সচিব পদে উপনীত হন। সেলজুক্ব রাজ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে শক্তিশালী সীমান্তবর্তী আমির, তিনি পাশ্ববর্তী জর্জিয়া রাজ্যের ঘন ঘন আক্রমণকে প্রতিহত করার জন্য বিরাট সেনাবাহিনীর সাহায্য লাভ করেন। এর ফলে ১১৪৬ সালে তিনি নিজেকে আজারবাইজানের স্বাধীন শাসক হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি দ্বিতীয় সুলতান তঘরুল (১১৩২-১১৩৩; মাসুদের ভাই এবং পূর্বপুরুষ)  এর বিধবা স্ত্রী-কে বিয়ে করেন যিনি তাকে উক্ত রাজবংশীয় বিবাদে ( ১১৫২ সালে যা মাসুদের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়) হস্তক্ষেপের ব্যপারে অনুমতি দেয়। তিনি সফলতা লাভ করেন, ১১৬০ সালে, সুলায়মান শাহ এর পদচ্যুতি ঘটিয়ে তিনি তার সৎ পুত্র আরস্লান বি. তঘরুল (১১৬০-১১৭৫) কে সুলতান পদে উপবিষ্ট করেন। আতাবেক এর খেতাব লাভ করে,  ইলদেনিয তখন সুলতানের প্রশাসকের প্রধান রক্ষাকর্তায় উপনীত হন।   

পরে ইলদেনিয তার পুত্র পালোয়ান এবং ইনাঞ্চ এর কন্যার বিয়ের ব্যবস্থা করেন। ইনাঞ্চ ছিলেন রে এর আমির। এই বিবাহ'র কারণ হলো উক্ত শক্তিশালী রাজবংশের বশ্যতা স্বীকার করা। পরবর্তীতে, ইনাঞ্চ ফার্স এবং ক্বাযভিনের আমিরদের সাথে মিত্রতা করেন এবং আরস্লানের ভাই মুহাম্মাদকে তার পক্ষ ত্যাগ করানোর চেষ্টা করেন। ইলদেনিয দলত্যাগীদের সাথে যুদ্ধ ময়দানে সাক্ষাৎ করেন এবং জয় লাভ করেন, কিন্তু ইনাঞ্চ রে-তে পালিয়ে যান। ইলদেনিয পরে ইসাফান এ যায় এবং ফার্স, যাঙ্গি এর আতাবেককে বশ্যতা স্বীকারের জন্য বাধ্য করেন। শীঘ্রই তিনি ১১৬২ সালে ডিভিন শহরকে জর্জিয়ান আক্রমণ থেকে উদ্ধারের জন্য উত্তরে যাত্রা শুরু করেন। ইলদেনিযের নেতৃত্বে মুসলিম শাসকরা জর্জিয়ান রাজা তৃতীয় জর্জকে হারিয়ে দেন এবং তার দেশে ফিরে যেতে বাধ্য করে। হামাদানে ফিরে, তিনি আরেকটি আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা চালান- সেই আক্রমণটি খোয়ারেযমিয়ানস কর্তৃক পরিচালিত হয় যিনি খোরাসানকে বিস্তৃত করার পরিকল্পনা করেন। খোয়ারেজমিয়ানস সরাসরি মোকাবিলা পরিহার করেন এবং ইলদেনিয বাহিনীকে হটিয়ে দেয়। তাদের বন্ধু ইনাঞ্চকে, ইলদেনিযের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১১৬৯ সালে হত্যা করা হয়। খোয়ারেযমশাহ ১১৭২ এ মারা যান।   

তার মৃত্যুতে ১১৭৫-১১৭৬ সালের দিকে, ইলদেনিয তর্কসাপেক্ষে, সেলজুক্ব সম্রাজ্যের অনেক অংশের দে ফেক্তো মাস্টারে পরিণত হন। হামাদানের একটি মাদ্রাসায় তাকে সমাহিত করা হয় যা তিনি নিজে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।  

তথ্যসূত্র 

[সম্পাদনা]