আচেহ
আচেহ | |
---|---|
ইন্দোনেশিয়ার প্রদেশ | |
ইন্দোনেশিয়ায় আচেহের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৫°৩৩′ উত্তর ৯৫°১৯′ পূর্ব / ৫.৫৫০° উত্তর ৯৫.৩১৭° পূর্ব | |
গঠিত | ৭ ডিসেম্বর ১৯৫৬[১] |
রাজধানী সর্ববৃহৎ শহর | বান্দা আচেহ |
সরকার | |
• শাসক | আচেহ প্রাদেশিক সরকার |
• গভর্নর | নোভা ইরিয়ানশিয়াহ |
আয়তন | |
• মোট | ৫৮,৩৭৬.৮১ বর্গকিমি (২২,৫৩৯.৪১ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ১১তম |
উচ্চতা | ১২৫ মিটার (৪১০ ফুট) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ৩,৪৬৬ মিটার (১১,৩৭১ ফুট) |
সর্বনিন্ম উচ্চতা | ০ মিটার (০ ফুট) |
জনসংখ্যা (mid 2019)[২] | |
• মোট | ৫৩,১৬,৩২০ |
• ক্রম | ১৪তম |
• জনঘনত্ব | ৯১/বর্গকিমি (২৪০/বর্গমাইল) |
• ঘনত্বের ক্রম | ২০তম |
Demographics | |
• Ethnic groups | 71% Acehnese 9% Javanese 7% Gayo 3% Batak 2% Alas 1.5% Simeulue 1.4% Aneuk Jamee 1.1% Tamiang Malay[৩] |
• Religion | 98% Islam 1.5% Christianity 0.5% Others |
• Languages | Indonesian (official) Acehnese (regional) Gayo, Simeulue, Tamiang Malay, Aneuk Jamee, Alas-Kluet, Singkil (minority) |
সময় অঞ্চল | Indonesia Western Time (ইউটিসি+7) |
GRP per capita | US$2,239.49 |
GRP rank | 19th (2018) |
HDI (2018) | 0.711 (High) [৪] |
HDI rank | 11th (2018) |
ওয়েবসাইট | acehprov |
আচেহ ইন্দোনেশিয়ার সর্বপশ্চিমের একটি প্রদেশ। এটি সুমাত্রার উত্তর প্রান্তে অবস্থিত। বান্দা আচেহ এর রাজধানী ও সর্ববৃহৎ শহর। এটি একটি বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদাপ্রাপ্ত প্রদেশ। আচেহ একটি ধর্মীয় রক্ষণশীল অঞ্চল এবং ইন্দোনেশিয়ার একমাত্র প্রদেশ যা সরকারীভাবে শরিয়া আইন অনুশীলন করে। এই অঞ্চলে দশটি আদিবাসী নৃগোষ্ঠী রয়েছে, যার মধ্যে বৃহৎ গোষ্ঠী হল আচেহনিজ, তারা এ অঞ্চলের জনসংখ্যার প্রায় ৮০% থেকে ৯০%।
আচেহ সেই জায়গা যেখান থেকে ইন্দোনেশিয়ায় ইসলামের বিস্তার শুরু হয়েছিল এবং এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইসলামের প্রসারের একটি মূল কারণ ছিল। ১২৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে আচেতে (ফানসুর ও লামুরি রাজ্যে) ইসলাম পৌঁছেছিল। সপ্তদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে আচেহ সালতানাত মালাক্কা উপকূল অঞ্চলে সর্বাধিক ধনী, শক্তিশালী এবং চাষযোগ্য রাজ্য ছিল। সাবেক ডাচ উপনিবেশবাদী এবং পরে ইন্দোনেশীয় সরকার সহ আচেহর বহিরাগতদের দ্বারা নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং প্রতিরোধের ইতিহাস রয়েছে।
আচেহতে তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের মত প্রাকৃতিক সম্পদ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। ২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরের ভূমিকম্প ও সুনামির কেন্দ্রস্থল ছিল আচেহের সবচেয়ে নিকটবর্তী, যা প্রদেশের পশ্চিম উপকূলের বেশিরভাগ অংশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ দুর্যোগে ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ১৭০,০০০ জন মানুষ মারা গিয়েছিল বা নিখোঁজ হয়েছিল। ইন্দোনেশিয়ার সরকার এবং মুক্ত আচেহ আন্দোলনের মধ্যে শান্তি চুক্তি দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।
নাম
[সম্পাদনা]আচেহ প্রথমে আচেহ দারুসসালাম (১৫১১-১৯৪৫) নামে পরিচিত ছিল। এটি গঠনের পূর্বে ১৯৫৬ সালে আচেহ ছিল, পরে নাম পরিবর্তন করে দেরাহ ইসতিমওয়া আচেহ (আচেহ বিশেষ অঞ্চল (১৯৫৯-২০০১)) করা হয়। ২০০১-২০০৯ পর্যন্ত নাগরু আচেহ দারুসসালাম ছিল। ২০০৯ সালে পুনরায় আচেহ নামে ফিরে আসে এবং তা এখনও বর্তমান। বানানগত দিক থেকে এটি আজহে বা আচিন নামেও উচ্চারিত হয়।[৫]
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
---|---|---|
১৯৭১ | ২০,০৮,৫৯৫ | — |
১৯৮০ | ২৬,১১,২৭১ | +২.৯৬% |
১৯৯০ | ৩৪,১৬,১৫৬ | +২.৭২% |
১৯৯৫ | ৩৮,৪৭,৫৮৩ | +২.৪১% |
২০০০ | ৩৯,৩০,৯০৫ | +০.৪৩% |
২০১০ | ৪৪,৯৪,৪১০ | +১.৩৫% |
২০১৫ | ৪৯,৯৩,৩৮৫ | +২.১৩% |
২০১৯ | ৫৩,১৬,৩২০ | +১.৫৮% |
উৎস: Badan Pusat Statistik 2010, Kementerian Kesehatan Estimasi 2014 |
ইন্দোনেশিয়ার ২০০০ সালের আদমশুমারির সময় আচেহের জনসংখ্যা যথাযথভাবে নথিভুক্ত করা হয়নি কারণ বিদ্রোহ সঠিক তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াটিকে জটিল করেছিল। ২০০৪ সালে সুনামিতে আচেহেতে আনুমানিক ১,৭০,০০০ মানুষ মারা গিয়েছিল যা সাবধানতার সাথে জনসংখ্যার বিশ্লেষণের কাজটিকে আরও জটিল করে তোলে। সাম্প্রতিক আদমশুমারি অনুসারে, ২০১০ সালে আচেহের মোট জনসংখ্যা ছিল ৪,৪৮৬,৫৭০ জন এবং ২০১৫ সালে ছিল ৪,৯৯৩,৩৮৫ জন; সর্বশেষ সরকারি হিসাম মতে আনুমানিক (১ জুলাই ২০১৯ হিসাবে) ৫,৩১৬,৩২০ জন।[২]
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান সংস্থা পরিচালিত ২০১০ সালের আদমশুমারি অনুসারে আচেহ প্রদেশের জনসংখ্যার ৯৮% মুসলমান বা ৪,৪১, ২০০ জন মুসলমান এবং মাত্র ৫০,৩০০ জন প্রোটেস্ট্যান্ট এবং ৩,৩১০ জন ক্যাথলিক। আচেহে ধর্মীয় বিষয়গুলি প্রায়শ সংবেদনশীল থাকে। এখানে পুরো প্রদেশ জুড়ে ইসলামের পক্ষে দৃড় সমর্থন রয়েছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Undang-Undang Republik Indonesia Nomor 24 Tahun 1956 (ইন্দোনেশীয় ভাষায়) – উইকিসংকলন-এর মাধ্যমে।
- ↑ ক খ Badan Pusat Statistik, Jakarta, 2019.
- ↑ Aris Ananta; Evi Nurvidya Arifin; M. Sairi Hasbullah; Nur Budi Handayani; dan Agus Pramono (২০১৫)। Demography of Indonesia's Ethnicity। Institute of Southeast Asian Studies dan BPS – Statistics Indonesia।
- ↑ "Pembangunan Manusia | Provinsi Aceh"। ২৪ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "Direktorat Jenderal Perimbangan Keuangan | Perubahan Sebutan Nanggroe Aceh Darussalam menjadi Aceh"। www.djpk.kemenkeu.go.id (Indonesian ভাষায়)। ৩১ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-৩১।